পুরোনো খেলোয়াড়ের রক্ত-অশ্রু ইতিহাস: দেখেছি অগণিত লোক ২০২১ সালে “ভিতরের খবর” শুনে ১০০০ ডলার দিয়ে শিটকয়েনে অল-ইন করেছে, ৩ মাস পর প্রজেক্ট টিম ডাটাবেস মুছে পালিয়েছে; ২০২৪ সালে আবার “বছরে ৫০০% স্টেকিং” নামে এমন কাটা খেয়েছে যে মা-ও চিনতে পারেনি!

হোয়াইটপেপার শোপিস নয়, এটা প্রজেক্টের “মৃত্যু সার্টিফিকেট” —— এটা বুঝলে ৯৯% আবর্জনা কয়েন সঙ্গে সঙ্গে আসল রূপ দেখিয়ে দেবে! আজ কোনো বইয়ের বুলু ঝাড়ছি না, নিজে ২০০,০০০ ডলার লস করা রক্তাক্ত অভিজ্ঞতা দিয়ে ৩ মিনিটে হোয়াইটপেপারের ন্যাংটো করে দেব, ৫টা ড্রাগন-স্লেয়ার ছুরি, প্রতিটাই মারাত্মক, নতুনরা সরাসরি কপি করে নাও!

ছুরি ১: লক্ষ্য ঝাপসা = আবর্জনা! এক কথায় ব্যথার জায়গা বলতে না পারলে ফালতু

হোয়াইটপেপার খুলেই প্রথম পাতায় খোঁজো: এই প্রজেক্ট আসলে কোন নির্দিষ্ট ব্যথা সমাধান করছে?

  • আবর্জনা কয়েনের কায়দা: শুধু “Web3-এর বিপ্লব”“আর্থিক ব্যবস্থা নতুন করে গড়া”“বিশ্বের প্রথম ইকোসিস্টেম” —— মহাকাশীয় বড় বড় কথা, কিন্তু “কার জন্য, কী সমস্যা সমাধান করছে” এক কথাও পরিষ্কার নয়;

  • ভালো প্রজেক্টের মান: প্রথম লাইনেই ঠিকঠাক লেখা থাকে, যেমন ✅ “আফ্রিকার কৃষকরা মোবাইলে ০ ফি-তে ক্রস-বর্ডার পেমেন্ট করতে পারবে” ✅ “ক্রস-বর্ডার ই-কমার্স পেমেন্ট ৩ দিন থেকে ৩ সেকেন্ডে, ফি ০.১%-এ নামিয়ে আনা” ✅ “ছোট ব্যবসায়ীদের NFT মিন্ট করা সস্তা করা, মিনিমাম ১ USDT-তে চেইনে ওঠা”

নির্মম কায়দা: ৩০ সেকেন্ডে “নির্দিষ্ট ব্যথা + সমাধানের উপায়” না পেলে পাতা বন্ধ করে দাও! ৯৯% কাটা শেষে পালানো এয়ার কয়েন।

ছুরি ২: টিম অ্যানোনিমাস = মৃত্যুদণ্ড! জাল রেজুমে দেখলেই গুলি

২০২৫ সালে এসে এখনো অ্যানোনিমাস টিম —— হয় ঠকবাজ, নয় পালানোর প্ল্যান করছে! মূল ৩টা জিনিস দেখো, একটাও কম হলে পাস:

  1. আসল মানুষের প্রমাণ: পরিষ্কার ছবি + পুরো আসল নাম (যেমন “অমুক ডক্টর”“অ্যানোনিমাস গিক” মানবে না);

  2. রেজুমে চেক করা যায়: LinkedIn-এ নাম সার্চ করে বেরোয়, কাজের অভিজ্ঞতা + স্কিল ট্যাগ প্রজেক্টের সাথে মিলছে কি না (যেমন AI চেইন প্রজেক্ট করছে, আগে AI-এর কাজ থাকতে হবে);

  3. জাল নয়: “সাবেক গুগল ইঞ্জিনিয়ার”“ইথেরিয়াম কোর ডেভেলপার” লিখলে গুগল/GitHub-এ নাম সার্চ করো —— কোনো কন্ট্রিবিউশন না পেলে জাল।

রক্তাক্ত উদাহরণ: ২০২৩ সালে একটা “সাবেক ইথেরিয়াম কোর ডেভেলপার” টিমের প্রজেক্টে ঢুকেছিলাম, পরে দেখি ছবি ফটোশপ করা, রেজুমে সব বানানো —— প্রজেক্ট পালিয়ে ২০০ মিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছে, আমার ৩০,০০০ ডলার গেছে!

নির্মম কায়দা: অ্যানোনিমাস টিম সরাসরি পাস, রেজুমে চেক করা যায় না বা জাল —— রাতারাতি পালাবে!

ছুরি ৩: টোকেন অ্যালোকেশন বিকৃত = লিচু কাটার মেশিন! টিমের অংশ ৪০% ছাড়ালে ফেলে দাও

টোকেন অ্যালোকেশন হল প্রজেক্টের “লোভের আয়না”, ২০২৫ সালে দীর্ঘজীবী প্রজেক্টে টিম + ফাউন্ডেশন + আর্লি ইনভেস্টর মিলে ≤৩০%, আর লক-আপ রুল স্পষ্ট থাকতে হবে:

  • আবর্জনার লক্ষণ (একটাও মিললে দৌড়াও): ❌ টিমের জন্য ৪০%+ রিজার্ভ, লক নেই বা লক ১ বছরের কম (আনলক করেই ধ্বস দেবে); ❌ “মার্কেটিং ওয়ালেট ৩০%”“ইকো ফান্ড ২০%” লেখা কিন্তু কীভাবে খরচ হবে, কবে দেবে কিছু বলা নেই; ❌ আর্লি ইনভেস্টরদের কোনো লক নেই, লঞ্চ করেই ক্যাশ আউট;

  • ভালো প্রজেক্টের মান: ✅ টিম ১০-২০%, ৩-৫ বছর লক, ধাপে ধাপে আনলক; ✅ কমিউনিটি ইনসেনটিভ + লিকুইডিটি মাইনিং ≥৪০% (আসলে ইউজারদের লাভ); ✅ সব অ্যালোকেশন, আনলক টাইমলাইন স্পষ্ট লেখা।

নির্মম কায়দা: অ্যালোকেশন টেবিল ঝাপসা, টিম ৪০%+, লক ১ বছরের কম —— সরাসরি পাস! এটা প্রজেক্ট নয়, রিটেল কাটার হাতিয়ার।

ছুরি ৪: টেকনোলজি বড় বড় কথা = এয়ার! ওপেন সোর্স কোড না থাকলে মৃত

তোমাকে কোড বোঝার দরকার নেই, ৩ সেকেন্ডে টেক জালিয়াতি ধরে ফেলতে পারবে:

  • আবর্জনার কায়দা: প্রথম পাতা থেকেই “বিশ্বের প্রথম কোয়ান্টাম চেইন AI কনসেনসাস”“ক্রস-চেইন ব্ল্যাকহোল টেক”“মেটাভার্স + Web3 + AI ফিউশন” —— শুধু বোঝা যায় না এমন বুলু, কিন্তু GitHub জিএইচ লিংক নেই;

  • ভালো প্রজেক্ট: ✅ সাদা কাগজে কালো করে GitHub লিংক দেওয়া, প্রতি সপ্তাহে কমিট আপডেট; ✅ টেক সলিউশন বাস্তবসম্মত, যেমন “ইথেরিয়াম Layer2-এ ডেভেলপ করে Gas ফি ৯০% কমানো”“Optimism স্কেলিং ব্যবহার করে TPS বাড়ানো”; ✅ অযথা কনসেপ্ট জমা করে না, একটা টেক ব্যথা সমাধান করে।

২০২৫-এর লোহার নিয়ম: কোড ওপেন সোর্স নয়, GitHub ৩ মাস ধরে আপডেট নেই, টেক অংশে শুধু বুলু —— এয়ার কয়েন, ছোঁয়োই না!

ছুরি ৫: রোডম্যাপ “পাই আঁকা” = পালানোর আগে লক্ষণ! “ভবিষ্যতে হবে” তিন শব্দ দেখলেই ডিলিট

রোডম্যাপ দেখতে হবে “যাচাই করা যায় কি না”, কল্পনাশক্তি নয়:

  • আবর্জনা রোডম্যাপ: “Phase1: ভিশন তৈরি”“Phase2: ভবিষ্যতে ইকোসিস্টেম ল্যান্ডিং”“২০২৫ সালে বিশ্বের ১০০ কোটি ইউজার” —— যাচাই করার কোনো উপায় নেই;

  • ভালো রোডম্যাপ: ✅ স্পষ্ট টাইমলাইন + বাস্তব লক্ষ্য, যেমন “২০২৫ Q2: মেইননেট লঞ্চ, ETH ক্রস-চেইন সাপোর্ট”“২০২৫ Q3: দুবাইয়ের একটা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সাথে পার্টনারশিপ, পেমেন্ট ফিচার”“২০২৫ Q4: কমিউনিটি নোড ১০০০+, ট্রেডিং ভলিউম ১০০ মিলিয়ন USDT”

নির্মম কায়দা: “ভবিষ্যতে হবে”“প্ল্যান করছি”“ভিশন তৈরি” এই শব্দ দেখলেই পাস! ২০২৪ সালে একটা পালানো প্রজেক্ট লিখেছিল “২০২৫-এ বিশ্ব কভার”, এখন ওয়েবসাইটই খোলে না।

২০২৫ সালের নতুন মারাত্মক টেকনিক: এই ৩টা না দেখলে এখনো গর্তে পড়বে!

শুধু হোয়াইটপেপার পড়লেই হবে না, এই ৩টা “লুকানো ইন্ডিকেটর” শেষ প্রতিরক্ষা, অনেকে এখনো জানে না:

  1. অডিট রিপোর্ট চেক করতেই হবে: Hacken, CertiK, PeckShield —— এই তিন প্রতিষ্ঠানের অডিট না থাকলে সরাসরি পাস! ২০২৫ সালে ৯০% পালানো কয়েনের কোনো আসল অডিট ছিল না;

  2. কমিউনিটি আসল সংখ্যা: Discord অ্যাকটিভ ইউজার ৫০০০-এর নিচে, Twitter-এ কমেন্ট সব বট (একই কথা বারবার, কোনো আসল আলোচনা নেই) —— দৌড়াও! আসল প্রজেক্টের কমিউনিটিতে ইউজাররা সমস্যা নিয়ে কথা বলে, শুধু “চলবে”“রকেট” লেখে না;

  3. ফান্ড ফ্লো মনিটরিং: Nansen বা Arkham দিয়ে টিমের ওয়ালেট চেক করো —— যদি বড় অ্যামাউন্ট চুপিচুপি বাইন্যান্স/OKX-এ যায় আর আনলক কাছাকাছি, তাহলে টিম ধ্বস দিয়ে পালানোর প্ল্যান করছে, তৎক্ষণাৎ দূরে থাকো!

পুরোনো লিচুর হৃদয় খুলে বড় সত্য কথা

হোয়াইটপেপার তোমাকে সব টেকনিক্যাল ডিটেইলস বোঝার জন্য নয়, ৩ মিনিটে ঠিক করার জন্য —— এই প্রজেক্ট “কাজ করতে এসেছে” নাকি “লিচু কাটতে এসেছে”।

২০২৫ সালে বুল মার্কেট এসেছে, কিন্তু আবর্জনা কয়েন ২০২১-এর চেয়ে ১০ গুণ বেশি! হোয়াইটপেপার না পড়ে ঢুকলে সেটা ইনভেস্টমেন্ট নয়, ঠকবাজদের জন্য কাজ করা।

মূল লজিক: প্রজেক্ট যত আন্তরিক, হোয়াইটপেপার তত স্পষ্ট (ব্যথা স্পষ্ট, টিম স্বচ্ছ, অ্যালোকেশন পরিষ্কার, রোডম্যাপ যাচাইযোগ্য); যত বেশি লিচু কাটতে চায়, হোয়াইটপেপার তত ঝাপসা (বড় বড় পাই, অ্যানোনিমাস টিম, অ্যালোকেশন বিকৃত, রোডম্যাপ পাই)।

এই ৫টা ড্রাগন-স্লেয়ার ছুরি + ৩টা নতুন মারাত্মক টেকনিক DNA-তে খোদাই করো, ৯৯% জিরো হয়ে যাওয়া কয়েন তোমার কাছে আসতেই পারবে না! ২০২৫ সালে বেঁচে থাকাই সবচেয়ে বড় জয়, এভাবে করলে কমপক্ষে ৩০০,০০০ ডলার কম লস হবে!

👉 কমেন্টে বলো: তোমার সবচেয়ে বড় হোয়াইটপেপার জালিয়াতির গল্প কী? লাইক-সেভ করে কয়েন সার্কেলে ঢোকার বন্ধুকে ফরওয়ার্ড করো —— একটা প্রাণ বাঁচালে সাততলা প্যাগোডা বানানোর সমান!