ব্লকচেইনের তিন রূপ সেকেন্ডে বোঝা: দৈনন্দিন ৩টা উদাহরণ দিয়ে মূল পার্থক্য পুরোপুরি পরিষ্কার
ব্লকচেইন মুখস্থ করার দরকার নেই — মূলত তিন ধরনের। তিনটা ঘরোয়া উদাহরণ শুনলেই পুরোটা ক্লিয়ার:
১. পাবলিক চেইন: যে-কেউ যোগ দিতে পারে “পাড়ার মাঠের নাচ”
যে-কেউ আসতে পারবে, রেজিস্ট্রেশন-অনুমতি কিছু লাগে না। ঠিক পাড়ার মাঠে মাসির নাচ — চেনা-অচেনা যাই হোক, ইচ্ছে হলে ঢুকে পড়ো, না হলে পাশে দাঁড়িয়ে দেখো।
বিটকয়েন-ইথেরিয়াম ক্লাসিক পাবলিক চেইন। দারোয়ান নেই, মালিক নেই, পৃথিবীর যে-কেউ খাতা লিখতে-দেখতে-আলোচনা করতে পারে। আসল ডিসেন্ট্রালাইজেশন — একা কেউ গোটা নেটওয়ার্ক বন্ধ করতে পারবে না।
সুবিধা: পুরোপুরি ডিসেন্ট্রালাইজড, অ্যাটাক প্রুফ, কেউ একা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। অসুবিধা: ধীরগতি, ফি মাঝে মাঝে বেশি, সব ডেটা খোলা → প্রাইভেসি কম।
২. প্রাইভেট চেইন: কোম্পানির “বিশেষ DingTalk গ্রুপ”
কে ঢুকবে, কী দেখবে, কী করবে — সব একজন (সাধারণত বস) ঠিক করে। আমাদের অফিসের DingTalk গ্রুপের মতো — বসই অ্যাড করে, মেসেজ ডিলিট করে, কিক মারে।
ডিসেন্ট্রালাইজেশন বলতে কিছুই নেই। বড়জোর “একাধিক ডিভাইসে ব্যাকআপ”। আসলে পুরোপুরি সেন্ট্রালাইজড।
সুবিধা: রকেট স্পিড, খরচ কম, প্রাইভেসি দুর্দান্ত। কোম্পানির ভেতরের ডেটার জন্য পারফেক্ট। অসুবিধা: মালিকের ওপর ১০০% নির্ভর — মালিক বদলালো বা কোম্পানি রিস্ট্রাকচার হলেই চেইন রাতারাতি মরে যেতে পারে।
৩. কনসোর্টিয়াম চেইন: ইন্ডাস্ট্রির বড় ভাইদের “KTV প্রাইভেট রুম”
রুমটা কয়েকটা বড় কোম্পানি মিলে ভাড়া করে। আসল পাওয়ার শুধু ওই ভাইদের হাতে।
নেটওয়ার্কে ঢোকার ইচ্ছে? আগে ভাইদের পারমিশন লাগবে। গোপন ডেটা দেখতে? মেম্বার হতে হবে। রুল বদলাতে? সবার ভোট লাগে না, ভাইয়েরা মিটিং করে হাত তুললেই হয়ে গেল।
উদাহরণ: AntChain, BSN, অধিকাংশ সাপ্লাই চেইন ফিনান্স ও ক্রস-বর্ডার পেমেন্ট প্রজেক্ট।
সুবিধা: স্পিড-সিকিউরিটির ব্যালান্স, পাবলিকের চেয়ে দ্রুত, প্রাইভেসি ভালো, আর “ডিস্ট্রিবিউটেড কোলাবরেশন” বলে প্রচার করা যায়। অসুবিধা: ভাইয়েদের মধ্যে ঝামেলা হলে নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এক লাইনে: পাবলিক = পুরো দুনিয়ার মাঠের নাচ (স্বাধীনতা), প্রাইভেট = বসের ড্রয়িংরুম পার্টি (স্পিড+গোপনীয়তা), কনসোর্টিয়াম = বড় ভাইদের বুক করা KTV রুম (মাল্টি-পার্টি কোলাবরেশন)।